গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক (গাইবান্ধা), এবিসি নিউজ, (৬ অক্টোবর) : উজানের ঢল ও থেমে থেমে বৃষ্টিতে গাইবান্ধার সব নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এ ছাড়া জেলার ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এসব নদীর পানি এখন পর্যন্ত বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি ৯৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, ঘাগোয়া, ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি, ফজলুপুরের নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ৯ টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত এই পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পায়। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।   

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘উজানের ঢলে ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। তবে করতোয়া, ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। হাজারো মানুষ চরাঞ্চলে পানি বন্ধি হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে।

জেলার বেলকা ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ গ্রামের আজিমুদ্দিন বলেন, ‘নিচু চরেগুলোতে পানি ঢুকেছে। এখনো অনেক চরে মরিচসহ কৃষি পণ্য রয়েছে। যদিও মরিচ প্রায় মাড়াই শেষ।’

এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ