দেশের পতাকা হাতে গাজামুখী ‘মিডিয়া ফ্লোটিলায়’ শহিদুল আলম
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ, ঢাকা (৪ অক্টোবর) : ফিলিস্তিনের দুর্ভিক্ষকবলিত গাজা অভিমুখে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সব জাহাজ আটক করেছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করা এই নৌবহরে থাকা সব অধিকারকর্মীকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের আটক কেন্দ্রগুলোতে রেখেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার।
ধারণা করা হয়েছিল, দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলমও ওই অধিকারকর্মীদের সঙ্গে ইসরায়েলি আটক কেন্দ্রে আছেন। তবে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি নিশ্চিত করেছেন, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নয়; বরং মিডিয়া ফ্লোটিলা নামের আরেক নৌবহরের সঙ্গে গাজার উদ্দেশে তাঁর যাত্রা অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার সকালে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সর্বশেষ জাহাজ ম্যারিনেটকে গাজা উপকূলে পৌঁছার আগেই নিজেদের হেফাজতে নেয় ইসরায়েলি সেনারা। তার কিছু আগে শহিদুল আলম ভিডিও বার্তাটি দেন। তাতে তিনি বলেন, ‘আজ ৩ অক্টোবর ২০২৫। দেখতেই পাচ্ছেন, ঝকঝকা রোদ। আজ আমরা ফিলিস্তিন টাইম জোনে এসেছি। সুমুদ ফ্লোটিলায় যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁরা ভিন্নভাবে গিয়েছিলেন। আমরা আলাদাভাবে যাচ্ছি। এভাবেই আমাদের পরিকল্পনা ছিল যে, ওদের ওপর কিছু হলেও আমরা যেন এগিয়ে যেতে পারি। জানতে পেরেছি, ইসরায়েল তাদের (সুমুদ ফ্লোটিলা) সব জাহাজ আটক করেছে।’
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম মিডিয়া ফ্লোটিলার যে জাহাজটিতে রয়েছেন তার নাম ‘কনসায়েন্স’। এই মিডিয়া ফ্লোটিলা নৌবহরটি গাজার ওপর ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে তথ্য ও সংবাদমাধ্যমের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করার একটি প্রচেষ্টা।
এই ফ্লোটিলা গাজায় ইনফরমেশন বা মিডিয়া ব্ল্যাকআউট (তথ্য গোপন) ভাঙার উদ্দেশ্যে কাজ করছে; যেখানে আছেন সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও চিকিৎসকেরা। মিডিয়া ফ্লোটিলা গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলারই অংশ।
গত ৩১ আগস্ট বার্সেলোনা থেকে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা গাজার উদ্দেশে যাত্রা শুরুর সপ্তাহখানেক পর ১১টি জাহাজ নিয়ে ফিলিস্তিনের দিকে রওনা দেয় মিডিয়া ফ্লোটিলা। গত রোববার ইতালি থেকে এই মিডিয়া ফ্লোটিলার সঙ্গে ফিলিস্তিনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন শহিদুল আলম।
সর্বশেষ ২ ঘণ্টা আগে ৫৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম জানান, তাদের মিডিয়া ফ্লোটিলা গাজায় মিডিয়া ব্ল্যাকআউট ভাঙতে এগিয়ে চলেছে।