সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীকে অপসারণ
নিজস্ব প্রতিবেদক (রংপুর), এবিসি নিউজ, (২৬ সেপ্টেম্বর) : রংপুরে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে নগর ভবনে তুলে নিয়ে মারধর ও জোরপূর্বক ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার চেষ্টার ঘটনায় আলোচিত সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) উম্মে ফাতিমাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল হায়াত মো. রফিক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, তাকে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদায়নের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২১ সেপ্টেম্বর ‘জুলাই যোদ্ধা’ ও ‘জুলাই রাজবন্দী’ কোটায় গোপনে ৬০০ জনকে অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়ার সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে নগরীর কাচারীবাজার থেকে তুলে নেয় একদল যুবক।
কথিত জুলাই যোদ্ধা নেতা এনায়েত রকির নেতৃত্বে তাকে নগর ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়, তাকে মারধর করা হয় এবং উম্মে ফাতিমার কাছে জোর করে ক্ষমা চাইতে চাপ দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে অন্যান্য সাংবাদিকরা নগর ভবনে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করেন।
কিন্তু ঘটনার পরপরই নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে ফেরার সময় সাংবাদিকদের ওপর আবারও হামলা চালায় সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সাংবাদিকরা হেনস্তার শিকার হন।
পরে লিয়াকত আলী বাদল বাদী হয়ে উম্মে ফাতিমা, ট্রেড লাইসেন্স শাখার প্রধান মিজানুর রহমান মিজু, এনায়েত আলী রকি, সাবেক কাউন্সিলর লিটন পারভেজসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জড়িত প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে।