১৪ টির মধ্যে মাত্র ৫ ফেরি চালু

Munshiganj Mawa ferry মাওয়া ফেরি. যানজটjpgরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, মাওয়াঃ পদ্মার তীব্র স্রোতের কারণে মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথের ১৪টি ফেরির মধ্যে মাত্র পাঁচটি চলাচল করায় পারাপার দারুণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

যে ফেরিগুলো চলছে, সেগুলোরও পারাপারে সময় লাগছে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুন বেশি। ফলে পদ্মার দুই তীরেই সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক যানজট।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মা নদীর পানি মাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার এবং ভাগ্যকূল পয়েন্টে বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছিল।

অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিঅইডব্লিউটিএ) মাওয়া ঘাটের কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন এবিসি নিউজ বিডিকে জানান, পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে গত কয়েকদিন ধরেই নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ জনপদের যোগাযোগ রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথে আগে যেখানে ফেরি পারাপারে সময় লাগত সোয়া ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা, সেখানে এখন লাগছে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা।

বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক আশিকুজ্জামান জানান, সচল ১৪টি ফেরির মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পাঁচটি দিয়ে কোনোক্রমে পারাপারের কাজ চলছে। এ কারণে দুই পাড়ে অপেক্ষমাণ সহস্রাধিক যান আটকে পড়েছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে গাড়ির লাইন।

আশিকুজ্জামান এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “গত সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে এ সমস্যা। বুধবার সকালে এই রুটে একটি ফেরি নামানো হয়। পরে দুপুর থেকে তিনটি ফেরি দিয়ে সচল রাখা হয় পারাপার। বিকালের পর চারটি ফেরি চলে।”

বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক এম এ বাতেন বলেন, পদ্মার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢেউ ও স্রোতের তীব্রতা বেড়ে গেছে।

“ফেরিগুলোর ইঞ্জিন অনেক পুরনো ও দুর্বল হওয়ায় স্রোতের বিপরীতে চলতে পারছে না। মূলত এ কারণেই অধিকাংশ ফেরি বন্ধ রাখতে হচ্ছে।”

বুধবার বিকালে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ড. খন্দকার শামসুদ্দোহা ঘাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, স্রোতের বিপরীতে ফেরীগুলো টেনে গন্তব্যে নিয়ে আসার জন্য নারায়নগঞ্জ থেকে দ্রুতগতির টাগবোট যুক্ত করা হবে।

তবে অগ্রপথিক নামের সেই টাগবোট বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঘাটে পৌঁছেনি।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে পদ্মার আকস্মিক ভাঙনে মাওয়া লঞ্চঘাট এলাকার একটি অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকির মধ্যেও বিকল্প একটি সিঁড়ি দিয়ে লঞ্চে যাত্রী ওঠানামা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

তবে তীব্র স্রোতের মধ্যে কেবল শক্তিশালী ইঞ্জিনের কয়েকটি লঞ্চ চলাচল করতে পারছে। ট্রলার চলাচল এখন বন্ধপ্রায়। তবে স্পিডবোট চলছে।

মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রহুল আমিন জানান, আরো দুইদিন পদ্মায় পানি বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। পানি নামার সময় আরেক দফা ভাঙন দেখা দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ