বিদ্যুৎ বিহীন ভোটকেন্দ্র

voteরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ দেশের অর্ধেক ভোটকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।

সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তাই ভোট দেয়া ও গণনার সুবিধার জন্য এসব কেন্দ্রে অন্তত দুটি করে চার্জার লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে একটি দাতা সংস্থার কাছে প্রয়োজনীয় চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নবম সংসদে ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি ভোটারের জন্য ভোটকেন্দ্র ছিল ৩৫ হাজার ২৬৩টি (ভোটকক্ষ ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৭৭টি)।

দশম সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ২১ লাখ। ভোটার অনুপাতে এবার কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৪ হাজার ৭৯টি।

ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ শুরু করেছে, আর তাতেই সম্ভাব্য অর্ধেক কেন্দ্রে বিদ্যুৎ না থাকার তথ্য জানা গেছে।

ইসির জ্যেষ্ঠ সহাকারী সচিব (নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়) ফরহাদ হোসেন এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের ৫০ শতাংশে বিদ্যুৎ নেই। এজন্য ২২ হাজার কেন্দ্রের জন্য চার্জার লাইট প্রয়োজন হবে।”

ইসি সচিবালয়ের আইটি অনুবিভাগের সিস্টেম এনালিস্ট ফারজানা আকতার এবিসি নিউজ বিডিকে জানান, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত ১৮ হাজার ৮৯৫টি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।

অনেক প্রতিষ্ঠানে একাধিক ভোটকেন্দ্রও স্থাপন করা হয়।

ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা) মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বলেন, “ভোটকেন্দ্রে বিদ্যুৎ না থাকলে গণনাসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করায় অসুবিধা দেখা দেয়।”

অতীতে ভোটকেন্দ্রে মোমবাতি সরবরাহ করা হতো। সর্বশেষ ভোলা-২ সংসদ উপ নির্বাচনে ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিদ্যুৎবিহীন ভোটকেন্দ্রে স্থানীয়ভাবে চার্জার কিনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সরবরাহ করা হয়।

ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানান, এবার বিদ্যুৎবিহীন ভোটকেন্দ্রে দুটি করে চার্জার লাইট সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে।

পঞ্চম সংসদ বা ১৯৯১ সাল থেকে ব্যবহৃত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে নেয়া হচ্ছে। ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে দেশের সব কেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ হবে।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সভায় উপস্থাপিত এক কার্যপত্রে দেখা যায়, দশম সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ডাটাবেইজ তৈরির লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা সংগ্রহ করেছে।

ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে গড়ে ২৫০০ ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকেন্দ্র এবং গড়ে ৬০০ পুরুষ ভোটার ও ৫০০ মহিলা ভোটারের জন্য একটি করে ভোট কক্ষ নির্ধারণ করা হয়।

এক্ষেত্রে যাতায়ত-ভৌগলিক অবস্থানের সুবিধা বিবেচনায় কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়।

তবে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ নিয়ে বিভিন্ন প্রার্থীর অভিযোগও হরহামেশাই ওঠে।

ইসি কর্মকর্তারা বলেন, প্রতিবারই ভোটের আগমুহূর্তে ভোটকেন্দ্র পাল্টাতে তৎপরতা শুরু করে কিছু প্রার্থী।

গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাছান মাহমুদ, বিএনপির মওদুদ আহমেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজলুল আজিম কেন্দ্র পাল্টাতে তোড়জোড় করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ