ক্ষমা চাইলেন রনি

MPRonyরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিককে মারধরের পর ক্ষমা চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় রনির অফিসে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ইমতিয়াজ মমিন সনি ও ক্যামেরাম্যান মহসিন মুকুলকে আটকে মারধর করা হয়। মুকুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অপরাধবিষয়ক অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ‘তালাশ’ এর সংবাদ সংগ্রহের জন্য তারা সেখানে গিয়েছিলেন।

আহত ইমতিয়াজ মমিন সনি এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “আমাদের তালাশ টিমের কাছে তথ্য ছিল গোলাম মাওলা রনিকে একজন সরকারি কর্মকর্তা দরপত্রের দুই কোটি টাকা দেবেন। তাই আমরা প্রতিবেদনের স্বার্থে সাংসদ রনির সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য তার অফিসে যাই। এক পর্যায়ে তিনি ও তার সহযোগীরা মারধর শুরু করেন।”

এ সময় সাংসদের নেতৃত্বে তাদের ক্যামেরা ও বুম ভাংচুর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ঘটনার পর সাংবাদিক নেতারা মেহেরবা প্লাজায় গেলে তাদের উপস্থিতিতে গোলাম মাওলা রনি আহত সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান। পাশাপাশি তাদের চিকিৎসা ব্যয় ও ক্যামেরার ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দেন।

বৈঠক শেষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতা শাবান মাহমুদ বলেন, “ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সূত্রপাত। আমরা ভদ্রতা ও সামাজিকতার কারণে সমঝোতায় এসেছি।”

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পরে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে গোলাম মাওলা রনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি গত কয়েকদিন শেয়ারবাজার নিয়ে কথা বলছি এবং ফেইসবুকে লিখছি। এ কারণে দরবেশের (সালমান এফ রহমান) নির্দেশে তার ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের তালাশ টিম আমার পিছনে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে বলে আমি সন্দেহ করছি।

“১০ দিন ধরে তারা আমার নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে এসেছে। তারা আমার দুর্নীতির সংবাদ তুলে এনেছে বলে জানিয়েছেন আমার আত্মীয় স্বজনরা।”

“কয়েকদিন থেকে দেখছি সকাল-সন্ধ্যা আমার তোপখানা রোডের অফিস থেকে শুরু করে নিজ বাসা পর্যন্ত পিছনে লেগে আছে।”

তালাশ টিমের সদস্যরা তার অফিসের ফ্রন্ট ডেস্কের কর্মচারী আবদুল কুদ্দুসের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন বলেও দাবি করেন সাংসদ রনি।
“শনিবার দুপুরেও আমার অফিসের সামনে এসে একটি ক্যামেরা চালু করে দাঁড়িয়ে থাকে। জানতে চাইলে পাঁচ লাখ টাকা মেনে নেয়ার কথা বলেন নইলে সবকিছু ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দেয়। তখন আমার অফিসের কর্মচারীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়।”

সাংবাদিকদের শরীরে আঘাতের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, কারা মেরেছে তা তিনি জানেন না। তবে যেহেতু ঘটনাটি তার অফিসের সামনে ঘটেছে তাই তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ