বেগম জিয়াকে  ২৪ জুলাই হাজির হতে নির্দেশ

প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,  ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় ১১ আসামিকে আগামী ২৪ জুলাই আদালত হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে।

১২ জুন (রোববার) ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ হোসনে আরা বেগম আসামিদের পক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে পুনরায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, “সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক কৃষি মন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল অব. আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক  মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশারফ হোসেন ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক।

আসামিদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী পলাতক অপর আসামিরা জামিনে আছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, মামলায় চার্জশিটভূক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন ছিলো। কিন্তু জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১১ জন আছে।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি এ মামলাটি করেন  দুদক।

কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় চার্জশিট দেয়া হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ