৬৯ বিদেশি মিত্রকে জাতীয় সম্মাননা

indmuiex

একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আরও ৬৯ জন বিদেশি বন্ধুকে সন্মাননা জানালো বাংলাদেশ। রবিবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই ষষ্ঠ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। প্রথমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বিদেশি বন্ধুদের পরিচিতি ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

রীতি অনুযায়ী বিদেশি বন্ধুদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া কথা রাষ্ট্রপতির। তবে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মাননা তুলে দেন।

এই ষষ্ঠ পর্বের সম্মাননার ২০৩ জন বিদেশি বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ৬৯ জন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা তাদের প্রতিনিধি এবার সম্মাননা নিতে ঢাকায় এসেছেন।

এবার ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ পেয়েছেন কিউবার ফিদেল কাস্ত্রো ও যুক্তরজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লর্ড হ্যারল্ড উইলসন (মরণোত্তর)। তাদের পক্ষে কিউবার রাষ্ট্রদূত ও হ্যারল্ড উইলসনের ছেলে অধ্যাপক রবিন উইলসন সম্মাননা গ্রহণ করেন। আর ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ দেয়া হচ্ছে ৬৭ বিদেশি বন্ধুকে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশি বন্ধুদের সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সর্বোচ্চ সম্মান স্বাধীনতা সম্মাননা দেয়া হয় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে। গত বছরের ২৫ জুলাই তার পূত্রবধূ সোনিয়া গান্ধীর হাতে এই সম্মাননাপত্র তুলে দেয়া হয়।
দ্বিতীয় পর্বে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ৮৩ জন বিদেশিকে গত ২৭ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ দেয়া হয়। তৃতীয় পর্বে গত ২০ অক্টোবর আরও ৬১ জন বিদেশি বন্ধুকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা জানানো হয়। চতুর্থ পর্বে গত ১৫ ডিসেম্বর ৬০ বিদেশি বন্ধুকে সম্মাননা জানায় বাংলাদেশ। আর সর্বশেষ গত ৪ মার্চ ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাতে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ তুলে দেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান।

Leave a Reply

Facebook
%d bloggers like this:
ব্রেকিং নিউজ