পাইকারি বাজারের সবজি খুচরা বাজারে তিনগুন

আনোয়ার আজমী, বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি (৯ মে ২০২২) : পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকেই অস্থির সবজির বাজার। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বাজারে এই অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফা লাভের আশায় রাজধানীর ছোট বাজারগুলোতে কেনার চেয়ে তিনগুন দামে বিক্রয় করছে সবজি। রাজধানীর পাইকারী এবং ছোট কয়েকটি বাজার ঘুরে মিলেছে এমন তথ্য।

সোমবার (৯ মে) রাজধানীর কাওরান বাজারে এক পাল্লা (৫ কেজি) গোল বেগুনের মূল্য দেখা যায় ১২০ টাকা (কেজি ২৫ টাকা)। লম্বা বেগুনের মূল্য দেখা য়ায় এক পাল্লা ১৭৫ টাকা (কেজি ৩৫ টাকা)। সবচেয়ে ভালো কাচা মরিচ পাল্লা ৩০০ টাকা (কেজি ৬০ টাকা)।

একই দিন শান্তিনগর, হাতিরপুল ও মধুবাগ বাজারে গিয়ে এই গোল বেগুন কেজি প্রতি- ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন কেজি প্রতি- ৮০ টাকা আর কাচা মরিচ- ১০০ টাকায় বিক্রয় হতে দেখা যায়। অর্থাৎ কাওরান বাজারের (এক পাল্লা)- ১২০ টাকার গোল বেগুন ছোট বাজারে- ৩০০ টাকা, ১৭৫ টাকার লম্বা বেগুন (এক পাল্লা)- ৪০০ টাকা এবং ৩০০ টাকার কাচা মরিচ (এক পাল্লা)- ৫০০ টাকা।
অসাধু ব্যবসায়ীদের এমন কারসাজি নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শান্তিনগর বাজারে একজন ক্রেতা এবিসিনিউজবিডিকে বলেন, পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে উৎসবের আগে বা পরে বাজার-বিপনী বিতানে মূল্যহ্রাস করা হয়। সহজলভ্য করা হয়। আর আমাদের দেশে এর উল্টো!

এছাড়া পাইকারি বাজারের কেজি-প্রতি ২০ টাকার টমেটো খুচড়া বাজারে- ৪০ টাকা, ৩০ টাকার শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ৩০ টাকা ফুল কপি (প্রতি পিস)- ৫০ টাকা, ২৫ টাকার পাতা কপি (প্রতি পিস) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ৪০ টাকার করলা ৮০ টাকা, ১৫ টাকার গাজর ৪০ টাকা, ৪০ টাকার চাল কুমড়া (প্রতি পিস) ৬০ টাকা, ৫০ টাকার লাউ (প্রতি পিস) আকারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ৩০ টাকার মিষ্টি কুমড়া (কেজি প্রতি) ৬০ টাকা, ৩০ টাকার চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ৩০ টাকার পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ২০ টাকার মুলা ৪০ টাকা, ২৫ টাকার শালগম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ৪০ টাকার কচুর লতি ৮০ টাকা, ৩০ টাকার পেঁপে ৫০ টাকা, ৬০ টাকার বটবটির কেজি ১২০ টাকা ও ৭০ টাকার মটরশুটি ১২০ টাকায় বিক্রয় হতে দেখা যায়।

খুচড়া বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল। ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। দেশি ডালের কেজি ১২০ টাকা।

এসব বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

এ ছাড়া বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা।

Leave a Reply

Facebook
%d bloggers like this:
ব্রেকিং নিউজ