এভারটন ছাড়ায় মৃত্যুহুমকি পেয়েছিলেন রুনি
ক্রীড়া প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১৪ ডিসেম্বর) : ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার ওয়েইন রুনি জানিয়েছেন, ২০০৪ সালে শৈশবের ক্লাব এভারটন ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার পর তিনি মৃত্যুহুমকি পেয়েছিলেন।
সম্প্রতি বিবিসি স্পোর্টের দ্য ওয়েইন রুনি শো-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে সময়ের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তিনি।
১৬ বছর বয়সে এভারটনের মূল দলে জায়গা করে নেওয়া রুনি তখন মাত্র ১৮। সেই বয়সেই ২ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ডের চুক্তিতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পাড়ি জমান তিনি।
এভারটনের দেওয়া নতুন চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন রুনি, যা হলে সেটি হতো ক্লাবটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের চুক্তি।
কিন্তু ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এভারটন সমর্থকদের একাংশ। বিশেষ করে যিনি একসময় ‘ওয়ান্স আ ব্লু, অলওয়েজ আ ব্লু’ লেখা টি–শার্ট পরে মাঠে নেমেছিলেন, তার বিদায় অনেকের কাছে ছিল বিশ্বাসঘাতকতার মতো।
রুনি বলেন, ‘আমি মৃত্যুহুমকি পেয়েছিলাম।
আমার বাবা–মায়ের বাড়িতে স্প্রে দিয়ে লেখা হতো, জানালার কাচ ভাঙা হতো। তখনকার বান্ধবী, এখনকার স্ত্রীর বাড়িতেও একই ঘটনা ঘটেছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘এমন সময়ে মানসিকভাবে খুব শক্ত থাকতে হয়। আশপাশের মানুষদের সহযোগিতাও দরকার।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যাওয়া সহজ ছিল না, কারণ লিভারপুল ও ম্যানচেস্টারের মধ্যে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। এতে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে গিয়েছিল।’
তবে সবকিছুর মধ্যেও নিজের লক্ষ্য নিয়ে ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রুনি। তার ভাষায়, ‘আমি সব সময়ই ভাবতাম, আমি কী চাই, সেটা আমি জানি। সেখানে পৌঁছাতে কী করতে হবে, সেটাও জানতাম।
তাই মানসিকভাবে শক্ত থাকার চেষ্টা করেছি।’
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ১৩ মৌসুম খেলেছেন রুনি। এ সময়ে তিনি জিতেছেন পাঁচটি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগসহ বহু ট্রফি। ২০১৭ সালে আবারও এভারটনে ফেরেন তিনি। এক মৌসুম পর যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস ক্লাব ডি.সি. ইউনাইটেডে যোগ দেন রুনি। পরে ডার্বি কাউন্টির হয়ে খেলেই পেশাদার ফুটবলে ইতি টানেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই স্ট্রাইকার।
মনোয়ারুল হক/
