ঐকমত্য কমিশন ঐক্যের বদলে নতুন সংকট তৈরি করল: রুহিন হোসেন প্রিন্স
নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসিনিউজবিডি, (২৯ অক্টোবর) : ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সাংবাদিকদের বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব শুনলাম। এ বিষয়ে আমাদের পার্টি ও জোটের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত মতামত দেওয়া যাবে।
তবে আমার প্রাথমিক মন্তব্য হল, বৈঠকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কে দেবেন? কিভাবে দেবেন? তাঁর আইনি ভিত্তি কি?
ঐকমত্যের নামে আগের ভিন্নমত ও নোট অফ ডিসেন্ট তুলে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখিত বিষয়গুলোতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি । তাই এগুলোকে ঐকমত্য বলে নতুন সংকট তৈরি করা হলো।
এ বিষয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটকে আমরা অপ্রয়োজনীয় মনে করেছি।
প্রস্তাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটের আলোচনা তোলার মধ্য দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ও তার প্রস্তুতিকে ব্যাহত করবে কিনা তা ভেবে দেখতে হবে ।
তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদের’ কথা কেন বলা হলো তা বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে তো ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা বা কোন ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়নি ।
সংবিধান সংস্কার পরিষদের প্রয়োজন মনে করছি না। যেসব বিষয় ঐকমত্য হওয়া গেছে এবং সংবিধান সংশোধনের সাথে জড়িত সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় সংসদকে আলোচনার ভিত্তিতে একটা সময় বেঁধে দেওয়া যেতে পারে,।
কিন্তু দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের আলোচনা আরো গভীরভাবে হওয়া প্রয়োজন। এজন্য মাত্র ৪৫ দিন সময় সময়ে দেওয়া যথাযথ নয়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে প্রধান কাজ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কোনভাবেই এ কাজকে ব্যাহত করা যাবে না।
সহজ সমাধান কে জটিল না করে আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, আলোচনা ও অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে জনগণের কাছে রাজনৈতিক দলগুলো যার যার বিবেচনা অনুযায়ী অঙ্গীকার করেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ইশতেহারে আরও সুনির্দিষ্ট ভাবে অঙ্গীকার করবে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আস্থা রাখা আর বিচারের ভার জনগণের উপর ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক দল কথা না রাখলে জনগণই বিচার করবে।
আমরা যেসব বিষয়ে সম্পূর্ণ ঐকমত্য হয়েছি, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য আলাপ-আলোচনা করে আগামী জাতীয় সংসদকে নয় মাসের যে সময় সীমা দেওয়া হয়েছে সেটি বিশেষভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। সংসদে অনুমোদন ছাড়া আপনা আপনি অনুমোদন হয়ে যাওয়া গ্রহণযোগ্য নয়।
আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি, আলোচনার সময়ে যেসব বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি সেগুলোকে ঐকমত্য ধরতে হবে। সংবিধান সংশোধনের সাথে জড়িত বিষয়গুলো আগামীতে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের উপরে ছেড়ে দিতে হবে। এর জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া যেতে পারে এবং প্রয়োজনে তখন গণভোট অনুষ্ঠিত করতে হবে।
