দ্বিতীয় দফায় ফরিদপুরে অবরোধ শুরু, স্থানীয় চেয়ারম্যান আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক (ফরিদপুর), এবিসি নিউজ, (১৪ সেপ্টেম্বর) : পঞ্চম দিনের মতো ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়ন ও হামিরদী ইউনিয়ন দুটি নগরকান্দা উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত করায় মহাসড়ক ও রেলপথে গাছ কেটে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এর ফলে যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পরেছে।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটে সীমানা পুনর্নির্ধারণকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে।

এদিকে আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে আন্দোলনের অন্যতম নেতা আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম. ম. সিদ্দিক মিয়াকে আটক করা হয়েছে। শনিবার রাতে (১৩ সেপ্টেম্বর) নগরকান্দার চাঁদহাট এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে আটক করে বলে নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব যুগল কিশোর মল্লিক।

রবিবার সকাল থেকে দুটি ইউনিয়নের সীমানাবর্তী হামিরদী বাসস্ট্যান্ড ও আলগী ইউনিয়নের সুয়াদী বাসস্ট্যান্ডসহ কয়েকটি স্থানে মহাসড়কে গাছ কেটে ও টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। অবরোধের কারণে দুটি মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ লাইনে যানবাহন আটকা পড়ে আছে। অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি কাজে ব্যবহৃত যানবাহন ছাড়া অন্য কিছুই চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।

এ সময় অবরোধকারীরা বলেন, “গত ১১৮ বছর যাবত আমরা ভাঙ্গা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছি। ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে আমরা ভাঙ্গা উপজেলাবাসী এক আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আমরা মানি না। নির্বাচন কমিশনের এই ভুল সিদ্ধান্ত থেকে যতক্ষণ না সরে আসবে, ততক্ষণ মহাসড়ক অবরোধ চলবে।”

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশরাফ জানান, দুটি মহাসড়কে গাছ কেটে ও টায়ার জ্বালিয়ে স্থানীয়রা অবরোধ করে রেখেছেন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে দুটি ইউনিয়ন ভাঙ্গা থেকে নগরকান্দায় যুক্ত হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এর আগে প্রথম দফায় গত শুক্রবার, মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের পুরোপুরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন অবরোধকারীরা। এতে যাত্রীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। তারা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান সরকারের কাছে। গতকাল বিকেলে ভাঙ্গার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একত্রিত হয়ে তিন দিনের এই অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।