স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই বাটপারি শুরু করেছেন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

নিজস্ব প্রতিবেদক (রংপুর), এবিসিনিউজবিডি, (২৩ অক্টোবর) : ন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই বাটপারি শুরু করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘তার ভেতরকার এসি রুমকে তিনি সাব-জেল ঘোষণা করেছেন।’

বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি হল রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ফুয়াদ বলেন, ‘এরপর থেকে সবাই যখন জেলে যাবে, তার বাসাগুলোকে সাব-জেল ঘোষণা করে দেবেন। গরিব মানুষ, দুঃখী মানুষ- যাদের ক্ষমতা নেই, তারা থাকবে কাশিমপুর বা কেরানীগঞ্জে। আর অতি ক্ষমতাবান যারা, তারা থাকবে এসি রুমে, ফাইভ স্টার জেলে, নিজেদের বাসায়। আইফোন ব্যবহার করে দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করবে, ফেসবুকে বট আইডি চালাবে। এটা কোনোভাবেই বিচারের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিচারের প্রশ্ন যখন আসবে, তখন হাসিনার প্রতি সর্বোচ্চ ইনসাফ করতে হবে। লীগের প্রত্যেক নেতার প্রতিও সর্বোচ্চ ইনসাফ করতে হবে। কারণ ইনসাফ ও আইনের শাসনই একটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্র হয়ে ওঠার মূল মানদণ্ড। অতএব, আজ যারা সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে আছেন, তাদের বিচারের মুখোমুখি করার উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। গুম, খুন, আয়নাঘর—হাজার হাজার মানুষের জীবন ট্রমাটাইজ করার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, ‘সেনাবাহিনী ও আর্মড ফোর্সেসের নেতৃত্বে যারা আছেন, তারা রাষ্ট্রকে যথেষ্টভাবে সহায়তা করছেন না। বিচার বানচালের চেষ্টা, লাঠিয়ালগিরি, দালালি, গোয়েন্দাগিরি, বট বাহিনী দিয়ে ক্রিমিনাল অফিসারদের ফুলের মতো পবিত্র হিসেবে প্রচারণা- এসব থেকে সরে আসতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা অপরাধী, তাদের অপরাধী হিসেবেই আইনের হাতে সোপর্দ করুন। এসি গাড়িতে ক্যান্টনমেন্টের এসি রুম থেকে আনার বদলে তাদের কাশিমপুর ও কেরানীগঞ্জে রাখার ব্যবস্থা করুন। কারণ বাংলাদেশের অনেক সাবেক এমপি-মন্ত্রী, অনেক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীও সেই জেলেই আছেন- তারাও সেখানে থাকুক।’

শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘আমরা মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাই—শিক্ষকদের দাবিগুলো সম্মানের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। তবে তথ্য উপদেষ্টার ন্যায্য দাবিগুলো এখনো পূরণ হয়নি। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মহিলা সংস্থার অধীনে বড় ধরনের দুর্নীতি চলছে। সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের অধীনে প্রতিবন্ধী সংগঠনে নিয়োগ বাণিজ্য চলছে। কিছু কর্মকর্তা চাকরি দেওয়ার নামে লাখে লাখে টাকা নিচ্ছেন। সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা যদি এখনই ব্যবস্থা না নেন, ভবিষ্যতে বড় বিপদে পড়বেন।’

রংপুর অঞ্চলের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বন্ধ চিনিকলগুলো পুনরায় চালু করতে হবে, বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। বেকারত্বের কারণে এখানকার তরুণরা মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।’

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ