‘৪০০ কোটি টাকার মালিক হওয়া পিওনকে বের করে দিয়েছি’
আনোয়ার আজমী, বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১৫ জুলাই ২০২৪) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার বাসায় কাজ করে গেছে..পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না! কী বলব, এটাই বাস্তব। আমি জানতে পেরে তার কার্ড সিজ করেছি, তাকে চাকরি থেকে বের করে দিয়েছি। যা করার আমি ব্যবস্থা নিয়েছি।
১৪ জুলাই বিকেলে গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
‘এসময় পিএসসির গাড়িচালক আবেদ আলীর প্রশ্নফাঁসে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়া ও যারা প্রশ্ন কিনে পাস কওে কর্মরত আছেন, তাদের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেবেন কিনা’ বাংলাদেশ প্রতিদিনের সোহেল সানীর এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন ড্রাইভার কীভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হলো, সেটা কীভাবে বলব? তাদের অপকর্ম আমরা ধরছি বলেই তো এখন জানতে পারছেন। এতদিন তো আপনারা জানতে পারেননি। প্রথমে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। এখন জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে, তাদের থামিয়েছি। এখন আমরা দুর্নীতি নিয়ে কাজ করছি, দুর্নীতবাজদের ধরছি। এটা চলতে থাকবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে আমাকে বলেন, এটা করলে সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে। আমি সেটা মনে করি না। যারা অপরাধ করছে, দুর্নীতিতে জড়াচ্ছে; তাদেরকে ধরতে হবে। এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে না।’
কোটা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে না, তাহলে কী রাজাকারের নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে, দেশবাসীর কাছে এটা আমার প্রশ্ন। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা হতে দিতে পারি না।’
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই বেইজিং সফর শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ জুলাই দেশে ফিরে আসার কথা ছিল তার। কিন্তু সফরসূচিতে পরিবর্তন এনে একদিন আগে (১০ জুলাই) দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরকালে বেইজিংয়ে অবস্থানকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া, চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন।
সফরের শেষ দিন ১০ জুলাই বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্যা পিপলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয়। এরপর দুই দেশ ২১টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে এবং সাতটি প্রকল্পের ঘোষণা দেয়।