হিজড়া ও গার্মেন্টসকর্মী সংর্ঘষে ২০ জন আহত

ctg hijra চট্টগ্রাম হিজড়া সংঘর্ষরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে হিজড়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ শ্রমিক আহত হয়েছে। পরে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সোমবার বেলা ১টার দিকে মহানগরীর দেওয়ানহাটের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ জানান, বেলা ১টার দিকে ১৫/২০ জন হিজড়া দেওয়ানহাট মোড়ে দেওয়ান বিল্ডিং এ অবস্থিত ওয়াকিয়া ফ্যাশন লিমিটেডের নামের একটি পোশাক কারখানায় গিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

কর্মকর্তারা এতো টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানালে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হিজড়ারা নিজেদের শরীর থেকে কাপড় খুলে ফেলে। এ সময় গার্মেন্টসের নারী শ্রমিকরা কাপড় খুলতে বাধা দিলে হিজড়ারা শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায় এবং এক প্রকার বিষাক্ত পাউড়ার চোখে মুখে ছিটিয়ে দেয়। এতে শ্রমিকরা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে আরো কয়েকজন হিজড়া এসে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে কারখানায় ভাঙচুর চালায়। এতে ২০ জন আহত হয়।

আহতদের কয়েকজন হলেন- গার্মেন্টসকর্মী শাহেদা, মমতাজ, নাসরিন, আমেনা, শাহেনা, রাশেদা, রিয়াজ, মোতালেব, বৃষ্টি, রিনা, হাসান, আশিক, উত্তম, সামউল, ফরিদুল, শারমিন, বেবী, সুলতানা, পুতুল ও সালাউদ্দিন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ সময় পারভিন নামে এক হিজড়াকে শ্রমিকরা আটক করলেও বাকিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে আটক হিজড়াকে থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে দেওয়ানহাটের মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ডবলমুরিং থানা পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

কারখানার মালিক ফয়সাল আহমেদ জানান, হিজড়াদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। সপ্তাহে ২/৩টা গ্রুপ চাঁদা নিয়ে যায়। তাদের চাঁদা দাবির পরিমাণ বাড়ছে। তারপরও মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা চাঁদা দেই। কিন্তু তারা আজ যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা মেনে নেওয়ার মতো না।

তিনি বলেন, আমাদের ২৫/৩০ জন শ্রমিককে হামলা করে তারা আহত করেছে। কারখানায় ভাঙচুর করেছে। আহত শ্রমিকদের আমরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এবং শিশু হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।

ডবলমুরিং থানার ওসি (তদন্ত) আতাউর রহমান খন্দকার জানান, হিজড়াদের সঙ্গে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মারামারির ঘটনা নিয়ে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। কোনো ব্যারিকেড দেয়নি। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম জানান, দেওয়ানহাটে গার্মেন্টসে সংর্ঘষে আহত ২০ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ