অসম্পূর্ণ বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার উদ্বোধন

Ctg bohoddar hat flyover বহদ্দারহাট ফ্লাইওভাররিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, চট্টগ্রামঃ রাজধানীতে দেশের দীর্ঘতম উড়াল সড়ক অসম্পূর্ণ রেখে উদ্বোধনের একদিনের মাথায় যান চলাচলের জন্য খুলল অসম্পূর্ণ চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার। যার ১০ ভাগ কাজ এখনও বাকি আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার চট্টগ্রামে এক দিনের সফরের প্রথম কর্মসূচিতে তিনি অসম্পূর্ণ বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন।

বহদ্দারহাট মোড় প্রান্তে ফিতা কেটে বন্দর নগরীর এই ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনের পর হাজার হাজার মানুষ দেখার জন্য ফ্লাইওভারের ওপর উঠে পড়ে।

গুলিস্থান-যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার নির্ধারিত সময়ের পরে অসম্পূর্ণ অবস্থায় চালু হলেও বহদ্দারহাট উড়াল সেতু খুলেছে নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগে। তবে এখনও এর বেশ কিছু কাজ বাকি আছে।

বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালের সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা এবং কক্সবাজারের সংযোগ রক্ষাকারী সড়কে ১ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের ডিসেম্বরে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএর নিজস্ব অর্থায়নে ১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ ফ্লাইওভার তৈরি করা হয়েছে। গত বছরের ২৪ নভেম্বর গার্ডার ধসে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর পর থেকে ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজের তদারকি করছে সেনাবাহিনী। তবে ১০ ভাগ কাজ বাকি রেখে উদ্ভোধনে আবার কোন দুর্ঘটনার কারন হবে না বলে মনে করেন স্থানীয় জনগণ। তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এবার ফ্লাইওভার আগের থেকে মজবুতভাবে বানানো হয়েছে। তবে তারা বলেন, পুরো কাজ শেষ করে উদ্ভোধন করলেই ভাল হত। এখনও জণমনে গত বছরের আতঙ্ক রয়ে গেছে।

সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম আগে বলেছিলেন, উদ্বোধনের পর ফ্লাইওভারটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলেও ছোট ছোট কিছু কাজ চলবে। পুরোপুরি কাজ শেষ হলে তা সিডিএকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। তবে কাজ শেষ হতে কতদিন লাগবে তা জানা যায়নি।

ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে বসে মোট ২১টি প্রকল্প উদ্বোধন করেন তিনি, ভিত্তিস্থাপন করেন আটটি প্রকল্পের। এরপর সেখানে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি।

সকালে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নামেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে সড়ক পথে তিনি নগরীর বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার এলাকায় আসেন। বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী যান চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে।

সুধী সমাবেশ শেষে সড়কপথে আবার চট্টগ্রাম সেনানিবাসে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দরবারে যোগ দেবেন তিনি।

সেনানিবাস থেকে বিএমএ’র উদ্দেশে রওনা হবেন শেখ হাসিনা। সেখানে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের উদ্বোধনের পর পতেঙ্গায় নেভাল একাডেমিতে অন্য একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় ফিরে যাবেন তিনি।

সর্বশেষ ২৯ অগাস্ট চট্টগ্রামে এসে বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিস্থাপন ছাড়াও ফটিকছড়িতে একটি জনসভায় অংশ নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

Leave a Reply

Facebook
%d bloggers like this:
ব্রেকিং নিউজ