এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হতে পারেন শফিকুল

সাইফুর রহমান, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (৪ মে ২০২০) : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে গ্রেপ্তার দেখাবে পুলিশ। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এ কথা জানিয়েছে।

শফিকুল প্রথম গ্রেপ্তার হন দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায়। এরপর গ্রেপ্তার হন ৫৪ ধারার মামলায়।

ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া ও জনসংযোগ) মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শফিকুলের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলা রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা এখন তাঁকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করতে পারেন। বিধি অনুযায়ী এ প্রক্রিয়াতেই এগোনোর কথা বলে জানান তিনি।

এই তিনটি মামলার একটি শেরে বাংলা নগর থানায় বাদী সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখর এবং অন্য দুটি হাজারীবাগ ও তেজগাঁও থানায়। হাজারীবাগ থানায় মামলা করেছেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী ইয়াসমীন আরা বেলী এবং তেজগাঁও থানায় বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীমা রহমান।

শফিকুল ইসলাম কাজল বর্তমানে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার হয়ে যশোর কারাগারে আছেন। এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে শফিকুলকে বেনাপোল থেকে উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়। বিজিবি পাসপোর্ট আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জানায়, পায়ে হেঁটে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবির টহলদল তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

শফিকুল ইসলামের ছেলে মনোরম পলক প্রথম আলোকে বলেন, বেনাপোল থানা থেকে পুলিশ তাঁকে বাবাকে নিতে যশোরে যেতে বলেছিলেন। তিনি ভাবতেও পারেননি তাঁর বাবাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হবে।

সোমবার শফিকুলের আইনজীবী দেবাশীষ দাশ প্রথম আলোকে বলেন, পাসপোর্ট আইনে যে মামলাটি হয়েছে সেটি জামিনযোগ্য। আদালতে শফিকুলকে উপস্থাপনের পর তিনি রায় দেবার জন্য কিছুটা সময় নেন। পরে জামিন দিয়ে দেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পুলিশ আদালতকে জানায়, শফিকুলেরর নামে ঢাকায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা আছে। তাঁকে আটক রাখা প্রয়োজন। এরপরই আদালতের নির্দেশে শফিকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত শফিকুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন ১৯ মের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন।

এর মধ্যে আর জামিন প্রার্থনা করবেন কি না জানতে চাইলে দেবাশীষ দাশ বলেন, মহামারী শুরুর পর আদালত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বসছে। সাধারণত আসামি গ্রেপ্তারের পর তাঁদের ব্যাপারে পরবর্তী বিচারিক ব্যবস্থাটুকু নেওয়ার জন্যই আদালত কাজ করছেন। গতকাল রোববার দুপুরের পর আদালত বসে এবং কিছুক্ষণ পর কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়। ফলে একটি মামলায় জামিন হলেও, অন্য মামলায় জামিন আবেদনের সুযোগই পাননি তাঁরা। এর মধ্যে জামিন আবেদনের সুযোগ পেলেই তাঁরা আবেদন করবেন।

Leave a Reply

Facebook
%d bloggers like this:
ব্রেকিং নিউজ