‘নৌবাহিনী হবে সামরিক নৌযানের বাণিজ্যিক নির্মাতা’

আনোয়ার আজমী, বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, চট্টগ্রাম (২২ ডিসেম্বও ২০১৯) : বাংলাদেশ নৌবাহিনী পর্যায়ক্রমে সামরিক নৌযানের বাণিজ্যিক নির্মাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নেভাল একাডেমিতে রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড পাঁচটি পেট্রোল ক্রাফট, দুটি লার্জ পেট্রোল ক্রাফট নির্মাণের মাধ্যমে দেশে যুদ্ধজাহাজ তৈরির ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে। সেখানে আরও পাঁচটি পেট্রোল ক্রাফট নির্মাণকাজ চলমান।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড ছয়টি আধুনিক সরঞ্জাম সজ্জিত বড় আকারের ফ্রিগেট তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নৌবাহিনী তিন বাহিনীর জন্য আইএফএফ সিস্টেম প্রস্তুত করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী সামরিক নৌযানের বাণিজ্যিক নির্মাণ কার্যক্রমের ফলে দেশীয় প্রযুক্তি বিকাশ ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।’

নৌবাহিনীর উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী বাহিনী তৈরি করতে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। ২০০৯ সালে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ হাতে নেই। এরই ধারাবাহিকতায় নৌবাহিনীতে ২৭টি যুদ্ধজাহাজ সংযুক্ত করেছি। নৌবাহিনীর এভিয়েশন উইং সৃষ্টি করেছি। ২০০৯ সালে অত্যাধুনিক সাবমেরিন যুক্ত করি। ফলে এই বাহিনী উত্তরোত্তর এগিয়ে যাচ্ছে।’

নৌবাহিনীকে আধুনিক করতে বঙ্গবন্ধুর অবদান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টায় দুটি পেট্রোল ক্রাফট নিয়ে নৌবাহিনীর যাত্রা শুরু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু নৌঘাঁটিগুলোকে কমিশন প্রদান করেন। এছাড়া বন্দর এলাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী যেসব মাইন পুঁতে রেখেছিল সেগুলো অপসারণ করে ব্যবহার উপযোগী করেন।’

Leave a Reply

Facebook
%d bloggers like this:
ব্রেকিং নিউজ