প্রধানমন্ত্রীর লেখকসত্তাও গভীর গবেষণার দাবি রাখে-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যতটা আলোচিত হয়েছেন, লেখক শেখ হাসিনাও ততটা আলোচনার দাবিদার। তাঁর সংগ্রামী জীবন ও রাজনীতি যেমন গবেষণার বিষয়, তেমনি তাঁর লেখকসত্তাও গভীর গবেষণার দাবি রাখে বলে মনে করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

৯ অক্টোবর (বুধবার) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘লেখক শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনাসভা এবং শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, তাঁর রচনায় তিনি সহজ-সরল ভাষায় ফুটিয়ে তুলেন অনেক গভীর-গহন কথন। যে মমতায় তিনি বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছেন সেই একই মমতার ঘ্রাণ তাঁর লেখার অক্ষরেও ফুটে ওঠে অনায়াসে। সে লেখা পাঠ করে যেকোনো পাঠক প্রাণিত হবে বাঙালি জাতির প্রগতিশীল সংগ্রামে ও সংকল্পে শামিল হতে। শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থাবলি বাঙালি পাঠকের কাছে যেমন বিপুলভাবে আদৃত হয়েছে তেমনি বহির্বিশ্বেও উপস্থাপিত হয়েছে সমান গুরুত্বে।

প্রধান অতিথি বলেন, বাংলার মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক মুক্তির লক্ষ্যে নিরলস সংগ্রামের পাশাপাশি এদেশের সাংস্কৃতিক জাগরণেও শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে চলেছেন। শিক্ষা জীবনে তিনি বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী আর তাঁর রাজনৈতিক জীবনেও রয়েছে সাহিত্যের নিবিড় প্রভাব। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লেখক-সাহিত্যিক এবং সংস্কৃতিজনের যেকোনো প্রয়োজনে, দুর্যোগে তিনি পাশে দাঁড়ান। তাঁর প্রেরণাতেই আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বরেণ্য সাহিত্যিক এবং সংস্কৃতিসেবীদের বাস্তুভিটা এবং স্মৃতিময় স্থানসমূহ সংরক্ষণ করে চলেছি। তিনি যেমন সাহিত্য-সংস্কৃতিকে তাঁর আপন ভুবন মনে করেন তেমনি এদেশের কবি-লেখক-শিল্পীরাও শেখ হাসিনাকে তাঁদের আপনজন হিসাবে বরণ করে নিয়েছেন। বাংলা সাহিত্যের স্মরণীয় বহু কবিতা, কথাসাহিত্য ও অন্যান্য রচনায় শেখ হাসিনা ভাস্বর হয়েছেন অনন্য উচ্চতায়।

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি। আলোচনাসভায় মূল বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবি কামাল চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

  • উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশিত হয়।

Leave a Reply

Facebook
%d bloggers like this:
ব্রেকিং নিউজ