১৪ বছর কারা ও ২০ লাখ টাকা অর্থদন্ডের বিধানে নিরাপদ খাদ্য আইনের অনুমোদন

cabinetসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদন্ড ও ২০ লাখ টাকা অর্থদন্ডের বিধান রেখে ১৯৫৯ সালের পুরনো আইনকে সংশোধন করে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’র’ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া মন্ত্রিসভা মাতৃদুগ্ধ-বিকল্প শিশুখাদ্য আইন ২০১৩’র খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে বৈঠক শেষে মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। খাদ্য মন্ত্রনালয় থেকে অবশ্য ভুল করে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করণে ব্যাত্যয় ঘটালে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান ‘মৃত্যুদন্ড’ উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এ আইনের কপি পাঠানো হয়। ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড উল্লেখ করেন।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৫৯ সালের পুরনো ‘নিরাপদ খাদ্য আইনকে সময়োপযোগি করতে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর উদ্যোগ গ্রহন করে। খাদ্য মন্ত্রনালয় আজ এ আইনটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করে। তিনি বলেন, ভেজাল খাদ্য এবং রাসয়নিক প্রক্রিয়ার খাদ্যের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে পুরনো আইনকে আরো কঠোর করতে মন্ত্রিসভা নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বিকেলে তার দপ্তরে বিষয়টির সংশোধন করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ৫ থেকে ৭ বছরের কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ড এবং একাধিকবার একই অপরাধ সংঘটিত করলে সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদন্ড এবং ২০ লাখ টাকা অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। চুড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া এই আইনটির খসড়া এখন আইন মন্ত্রনালয়ের ভেটিংয়ের পর আবার মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে।’

তিনি বলেন, এই আইন বাস্তবায়নের জন্য ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ গঠন করা হবে। এই কর্তপক্ষ এককভাবে কাজ করবে না। ভোজাল ও রাসয়নিক প্রক্রিয়া প্রতিরোধে যারা কাজ করছে তাদের সঙ্গে এই কর্তৃপক্ষ সমন্বয় করবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। খাদ্যমন্ত্রী এই উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান থাকবেন।

মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা জানান, মাতৃদুগ্ধ-বিকল্প শিশুখাদ্য আইন ২০১৩’র খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তিনি বলেন, এই আইনের চুড়ান্ত অনুমোদনের ফলে এখন থেকে গুড়ো দুধের বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে যাবে অর্থাৎ মাতৃদুগ্ধের বিকল্প খাদ্যে সকল প্রকার প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে। এই আইন অমান্য করলে ৩ বছরের কারাদন্ড ও ৫ লাখ টাকা জড়িমানার বিধান রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, কেউ যদি একই অপরাধ পূনরায় করে তবে সেই ক্ষেত্রে অপরাধের শাস্তি দ্বিগুন হবে।

Leave a Reply

Facebook
%d bloggers like this:
ব্রেকিং নিউজ