পাইলট এখনও নিখোঁজ, ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার

ctg-air-7-e1435587978264প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
চট্রগ্রাম : চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বিমান বাহিনীর এফ-৭ নামের যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর এর দুটি ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা গেছে। তবে বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ২৯ জুন সোমবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা লাইট হাউজ থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে সাগরে বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিধ্বস্ত হয়। এর আগে বিমানটি সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে।

কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন শহীদুল ইসলাম এবিসিনিউজবিডিকে বলেন, ‘বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির ইঞ্জিন সনাক্ত করা গেছে। আমাদের উদ্ধারকারী জাহাজ ‘সিজিএস তৌফিক’ বিমানের ভাঙা দুটি অংশ উদ্ধার করেছে। তবে বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন।’

ঘটনাস্থলে থাকা কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের লে.কমান্ডার দুরুল হুদা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী জাহাজ সিজিএস তৌফিক, তিনটি মেটাল শার্ক স্পিড বোট, নৌ বাহিনীর ৩টি যুদ্ধ জাহাজ (অতন্দ্র, মধুমতি ও সুরভী) উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। যুদ্ধ জাহাজের স্লাইড স্ক্যানার সোনার দিয়ে সাগরের তলদেশে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এছাড়া বিমান বাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টার ও বন্দরের একটি অ্যাম্বুলেন্সশীপ ঘটনাস্থলে আছে।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লাইটার জাহাজ ‘এমভি আলেকজান্ডার’ এর ওয়াচম্যান বাবুল এবিসিনিউজবিডিকে বলেন, ‘সকাল ১১টার দিকে বহির্নোঙ্গরের ব্র্যাভো অ্যাংকারেজ এলাকায় লাইটার জাহাজে ওয়াচম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলাম। সকাল ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ একটি যুদ্ধ বিমান সাগরের দিকে দ্রুত গতিতে আসতে দেখে সেদিকে চোখ রাখতে দেখি  সেটি সাগরে নিক্ষিপ্ত হয়। এরপর ৩০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে বিধ্বস্ত বিমান থেকে একজন সাগরে পড়ার পর হাত নেড়ে সাহায্য আহ্বান করছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে আমাদের জাহাজের দুরত্ব ছিল ৫০০ মিটারের মত। কিন্তু আমাদের কাছে ছোট স্পিড বোট না থাকায় তাকে উদ্ধার করতে পারিনি। এরপর পতেঙ্গায় অবস্থানরত এলাকার বড় ভাই হায়দার আলীকে মোবাইলে বিষয়টি জানাই। এরপর তিনি স্পিড বোট নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন।’

Leave a Reply

Facebook
%d bloggers like this:
ব্রেকিং নিউজ