নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রথম সম্মেলন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসি নিউজ, (২৭ সেপ্টেম্বর) : নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘নির্বাচন কর্মকর্তা’ সম্মেলন।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত থাকবেন।

প্রথমবারের মতো এ সম্মেলনের আয়োজক বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিইসিওএ)।

এর লক্ষ্য ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের জন্য ‘ইলেকশন কমিশন সার্ভিস’ চালুর বিষয়ে আইন সংশোধনে সরকারের সম্মতি আদায় করা। এ বিষয়ে ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘এই সম্মেলনে সারাদেশ থেকে নির্বাচন কমিশনের ৮ শতাধিক প্রথম শ্রেণির নিজস্ব কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। এই সম্মেলনে তারা নিজেদের কথা যেমন উপস্থাপন করবেন, তেমনি ভোটকে সামনে ইসির দিক নির্দেশনাও পাবেন সবাই।’

মনির হোসেন জানান, এনআইডি সেবা দিয়ে যাচ্ছে কর্মকর্তারা। শুরু থেকেই জনবলের তো ঘাটতি ছিল। এরইমধ্যে ভোটার বাড়তে থাকায় এনআইডি এর দেড়গুণ হয়েছে, কিন্তু সেই অনুপাতে জনবল বাড়েনি। উপজেলা, জেলা, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস ও সার্ভার স্টেশন নির্মাণে অবকাঠামো আধুনিকায়নের পাশাপাশি দক্ষ জনবল তৈরিতে উদ্যোগ নিচ্ছে ইসি।

‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস গঠন, সংসদ নির্বাচনে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া; পদসৃজন, আপগ্রেডেশন এবং প্রয়োজনীয় লজিস্টিকসহ প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম অনুমোদনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া; জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল করে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম ইসির হাতে রাখার দাবি জানিয়ে আসছে কর্মকর্তাদের এই সংগঠন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আয়োজিত এ ‘মিলনমেলায়’ নিজেদের দাবি উপস্থাপন করবেন কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোট প্রস্তুতির বিষয়ে নানা দিক-নির্দেশনা দেওয়া হবে।

সম্মেলনকে ঘিরে ইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ উদ্দীপনা রয়েছে। ইসি সচিবালয়ের পাশাপাশি ১০ আঞ্চলিক, জেলা অফিস, ৫ শতাধিক থানা/উপজেলা নির্বাচন অফিসে ৫ সহস্রাধিক লোকবল রয়েছে, এনআইডি উইংয়ের রয়েছে সহস্রাধিক লোকবল। এরমধ্যে ৮ শতাধিক প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা রয়েছে।

২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও এনআইডি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু থেকেই নির্বাচনি দায়িত্বের পাশাপাশি ইসি কর্মকর্তাদের এনআইডি সেবার কাজে সম্পৃক্ততা বাড়ে।

তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে আঞ্চলিক, জেলা, উপজেলা পযায়ে সার্ভার স্টেশন নির্মাণ ও আধুনিকায়নের ব্যবস্থা নেয় সরকার। সম্প্রতি এনআইডি সেবা নিয়ে ‘টানাটানি’ ও ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের পদোন্নতিকে সামনে রেখে নানা দাবিতে সক্রিয় হয় ইসি ও প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।

এ পরিস্থিতিতে ২০০৯ সালের আইন সংশোধন করে ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ ১৮ সেপ্টেম্বর উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন করায় ইসি সার্ভিস গঠনের পথ প্রশস্ত হয়।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ