পল্লবীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, শিক্ষার্থী খুন

mirpur মিরপুরআজমী আনোয়ার, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর উত্তর কালশী এলাকায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আব্দুর রহমান চঞ্চল নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত হন। নিহতের মা সালেহা বেগম ও সংঘর্ষে আহত শাহীনের ভাষ্য, আব্দুর রহমান কোনো পক্ষের ছিলেন না। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে তিনি নিহত হন।

নিহত আব্দুর রহমান স্থানীয় বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আব্দুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে। অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন মো. আলী (৩২), রাজীব (২৮) ও শাহীন (৩০)। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, জমিটি হেবিলি প্রপার্টি লিমিটেডের জায়গা। জমির জায়গায় আলীনগর আবাসিক প্রকল্প নামে একটি সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। সাইনবোর্ড নামানো নিয়ে স্থানীয় শাহীনউদ্দিন শাহীন ও মোমিন বখশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় তাদের সমর্থকদের মধ্যেও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আব্দুর রহমান নিহত হয়।

পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার কামাল হোসেনের ভাষ্য, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আব্দুর রহমান নিহত হন।

নিহত আব্দুর রহমানের মা সালেহা বেগমের ভাষ্য, আব্দুর রহমান সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি দেখে সে পালাতে যায়। এ সময় কেউ প্রতিপক্ষের লোক ভেবে তাঁর ওপর হামলা চালায়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহীনের ভাষ্য, কালশী এলাকায় তাঁর বাবা জইনুদ্দিনের জমি রয়েছে। জমিটি নিজের বলে দাবি করছেন মোমিন বখশ নামে এক ব্যক্তি। জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বেলা ১১টার দিকে তাঁরা কালশী এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে মোমিন বখশ ও তাঁর সমর্থকেরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। তারা এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করে।

এলাকাবাসী ও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আউয়াল হেবিলি প্রপার্টির মালিক।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আউয়ালের ভাষ্য, হেবিলি প্রপার্টি তাঁর মালিকানাধীন। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজ করছে। স্থানীয় দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। এর সঙ্গে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত (ইনচার্জ) কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক নিহত ও আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন। নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ