তারেক ও আরিফকে কেন হত্যা মামলায় আসামি নয়, শোকজ

2_rabসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার না দেখানোর কারণ জানতে চেয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ করেছে আদালত।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ মণ্ডলকে ওই দুই কর্মকর্তার রিমান্ড শেষে হাজিরার দিন এ সংক্রান্ত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অপহরণের পর হত্যার শিকার আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারের জামাতার করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেয়।

হাই কোর্টের আদেশের ছয় দিন পর শনিবার ভোররাতে গ্রেপ্তার করা হয় ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ও মেজর আরিফ হোসেনকে। তারা দুই জনই নারায়ণগঞ্জে র‌্যাব-১১ এ ছিলেন।

তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজিরের পর জিজ্ঞাসাবাদে শনিবার পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে আদালত।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “র‌্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলেও তদন্ত কর্মকর্তা তাদের সঠিকভাবে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখাননি। এতে আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম।

“নিহত আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারের জামাতার পক্ষে তাদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিলাম।”

ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে রোববার আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ করেছে বলেও জানান তিনি।

আদালত আদেশে বলেছে, এ মামলায় যেসব তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে এতে আসামিদের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে প্রতীয়মাণ হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে যে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে তাতেও আসামিদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। সুতরাং কেন তাদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো না তা রিমান্ড শেষে হাজিরার দিন আদালতকে জানাতে হবে।

গত ২৭ এপ্রিল কাউন্সিলর নজরুল ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন একসঙ্গে অপহৃত হলে তা নিয়ে সারাদেশে আলোচনা ওঠে।

তিন দিন বাদে শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়ার পর নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ তোলেন, কাউন্সিলর নূর হোসেনের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়ে র‌্যাব এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

এরপর হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি আরেকটি বেঞ্চ গত ১১ মে আরেকটি বেঞ্চ র‌্যাবের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।

ইতোমধ্যে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে সরিয়ে এনে সামরিক বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। সেনাবাহিনী তারেক ও আরিফকে অকালীন অবসরে পাঠায়, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রানাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় নৌবাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ