মহানন্দার তীরে দাঁড়িয়ে দেখুন অপরূপ ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’

কালচারাল রিপোর্টার, ঢাকা (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩) : পৃথিবীর সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ যেন আকাশ ছুঁয়ে দেয়। মেঘমুক্ত আকাশে দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার নানা রূপ। হেমন্তের ঝকঝকে নীল আকাশে দৃশ্যমান হয় হিমালয়ের বরফে টুপি পরা অপরূপ ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে আসেন অসংখ্য পর্যটক।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তের বুক চিরে প্রবাহিত নদীগুলোও বিভিন্ন ঋতুতে রূপ বদলায়। মহানন্দাও এর একটি। মহানন্দার তীরে দাঁড়িয়ে অপরূপ ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’য় মগ্ধ হন পর্যটকরা।

হিমালয়ের দ্বিতীয় পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। প্রতিবছর হিমালয়ের দেশ নেপালে ছুটে যান ভ্রমণপিপাসুরা। আর হিমালয়ের সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ দেখতে ছুটেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের টাইগার হিলে। সেখানে দাঁড়িয়ে অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘায় মুগ্ধ হন পর্যটকরা। আবার অনেকে আরও কাছ থেকে দেখতে নেপালেই ছুটে যান। দিনের আলোতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা রূপ মেলে ধরে ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’। যে কারণে হিমালয়ের মাঝে সৌন্দর্য উপভোগে ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ পর্যটকদের মধ্যমণি।

বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়েও নানা রূপে মুগ্ধ করা ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’র দেখা মেলে দেশের উত্তরের শেষ অংশ পঞ্চগড় থেকে। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত উত্তরের আকাশে মেঘ ও কুয়াশা না থাকায় মহানন্দার তীরে দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যায় ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’র বর্ণিল রূপ।

কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ নেপাল ও ভারতের সিকিম সীমান্তে অবস্থিত। বাংলাদেশের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন (স্থলবন্দর) থেকে নেপালের দূরত্ব ৬১ কিলোমিটার। ভারতের দার্জিলিংয়ের দূরত্ব ৫৮ কিলোমিটার। হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার আর কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। পৃথিবীতে উচ্চতার দিক থেকে প্রথম তিনটি পর্বতই হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত। প্রথম অবস্থানে রয়েছে মাউন্ট এভারেস্ট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এভারেস্ট শৃঙ্গের উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার বা ২৯ হাজার ২৯ ফুট। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পর্বত কে-টুর উচ্চতা ৮ হাজার ৬১১ মিটার বা ২৮ হাজার ২৫১ ফুট। এর পরই অবস্থান ৮ হাজার ৫৮৬ মিটার উঁচু কাঞ্চনজঙ্ঘার।

Leave a Reply

Facebook
%d bloggers like this:
ব্রেকিং নিউজ