বাড়তি দামেই ডিম চাল মাছ মাংস

নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসি নিউজ, (১২ সেপ্টেম্বর) : ‘ডিমের দাম বাড়তি। এলাকাভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ ডজন টাকা।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের ডিম বিক্রেতা সবুর আলী একজন ক্রেতা বলেন, কমে বিক্রি হবে না। মন চাইলে নেন। না কিনলে অন্য জায়গায় দেখেন।’

এদিকে ব্রয়লার মুরগির দামও কিছুটা চড়েছে। চাল, ডাল, মাছের দামও কমেনি। তবে সবজির দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমলেও চড়া দামে বিক্রি হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ যে যার মতো দাম আদায় করছে, যেন এটা দেখার কেউ নেই।

পাইকারি বাজারে কমলেও বেশ কিছু দিন ধরে খুচরা বাজারে ডিম বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে। গতকালও বিভিন্ন বাজারে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ডজন বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে প্যারাগন ও কাজী ফার্মের প্যাকেট করা ডিমের ডজন আরও বেশি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। আগের মতো গতকালও বিভিন্ন বাজারে সোনালি মুরগির কেজি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হয়। ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে দেশি মুরগি আগের মতোই ৬০০ থেকে ৬৫০, গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

চড়া দামেই ইলিশ বিক্রি
মানুষ ইলিশ খেতে চাইলেও সুযোগ হচ্ছে না। কারণ গতকালও বিভিন্ন বাজারে আগের মতো চড়া দামে তা বিক্রি করতে দেখা যায়। ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশের কেজি ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা, ১ কেজি ওজনেরটা ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা, জাটকাও ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাচকি মাছের কেজি ৬০০ টাকা, কাজলি, ট্যাংরা, চিংড়ি, বাচ্চা মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। তবে আকারভেদে চাষের রুই ও কাতলা মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাবদা ৫০০ থেকে ৬০০, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৮০০, পাঙাশ, তেলাপিয়া, সিলভার কার্প ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। টাউন হল বাজারের খুচরা মাছ বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইলিশ মাছের সরবরাহ বাড়ছে না। এ জন্য দাম কমে না।’

এখনো চড়া দামে সবজি
আগের তুলনায় দাম কমলেও তাল বেগুনের কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, সবুজ গোল বেগুন ১০০ টাকা ও লম্বা বেগুন ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। অন্য সবজির মধ্যে শিম ১৮০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি, পটোল, ধুন্দল ৭০ থেকে ৮০, ঢ্যাঁড়স ৭০ থেকে ৮০, শসা ৮০ থেকে ১০০, করলা ৮০ থেকে ১০০, ঝিঙা, বরবটি, কচুলতি ৮০ থেকে ১০০, পেঁপে ৩০, কচুমুখী ৫০-৬০ এবং গাজর ১০০ টাকায় কেজি বিক্রি হয়। তবে কাঁচা মরিচ ১৫০-২০০ টাকা কেজি, লাউ ও চাল কুমড়ার পিস ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। শীতের কপি উঠলেও ৬০ থেকে ৮০ টাকার কমে মেলে না।

সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. বাবুলসহ অন্যরা খবরের কাগজকে জানান, ‘কয়েক দিন খরা চলছে। আগের তুলনায় মাঠ থেকে বেশি সবজি আসছে। সরবরাহ বেড়েছে। এ জন্য সবজির দাম কিছুটা কমেছে।’এ সময় হাফিজুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘এখনো অনেক সবজি ১০০ টাকার কমে পাওয়া যায় না। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।’

মিনিকেট চালের কেজি ৮৫ টাকা
কয়েক মাস ধরে চালের দাম না কমায় সরকার আমদানি করার ঘোষণা দেয়। এতে কিছুটা কমলেও এখনো উচ্চমূল্যেই বিক্রি হচ্ছে। মনজুর, রশিদ, সাগর, আকিজ, তীরসহ অন্য কোম্পানির মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দাদা কোম্পানি, ডায়মন্ড, হরিণ, মোজাম্মেল কোম্পানির চাল আরও বেশি ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়া আটাশ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা ও মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনি ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি, মসুর ডাল ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, ছোলা ১১৫ টাকা, ২ কেজির প্যাকেট আটা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ