খন্দকার মাহবুবের আদালত অবমাননার আদেশ ২২ জুন

ad kh mahbub এড খন্দকার মাহবুবসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ খন্দকার মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। আদেশের জন্য আগামী ২২ জুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তারিখ‌ ঠিক করে আদেশ দেন।

খন্দকার মাহবুব সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি।

ট্রাইব্যুনালে খন্দকার মাহবুব হোসেনের পক্ষে প্রথমে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। অন্যদিকে প্রসিকিউশনের পক্ষে জেয়াদ আল মালুম শুনানি করেন।

ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে মন্তব্য করায় খন্দকার মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে গত বছরের ৬ অক্টোবর শোকজ করেন ট্রাইব্যুনাল।

খন্দকার মাহবুব হোসেনের বক্তব্য এক ধরনের হুমকি উল্লেখ করে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্যে সাক্ষীরা ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দিতে চাইবে না। এভাবে বিচার নিয়ে বক্তব্যের সুযোগ দেওয়া হলে সবাই বক্তব্য দেওয়া শুরু করবে।’ তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

অন্যদিকে আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে বক্তব্যের কারণে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে বিচারকদের সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। মিথ্যা স্বাক্ষী, মিথ্যা তদন্ত দিয়ে কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে যদি সাজা দেওয়া হয়, তাহলে ওই সাজা দেওয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার করা হবে বলে তার বক্তব্যে বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজাপ্রদান করলে তা দণ্ডবিধির পরিপন্থী হয়। এতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে না। তাই খন্দকার মাহবুব হোসেন বুঝিয়েছেন কোন নির্দোষ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষীর ভিত্তিতে সাজা হওয়ার দায়ে যারা জড়িত তাদের বিচার হবে।’

তাই বিষয়টি আমলে না নিয়ে নিষ্পত্তি করার আবেদন করেন তাজুল ইসলাম।

২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রসঙ্গ নিয়ে একটি মন্তব্য করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।

গত ৩ অক্টোবর প্রসিকিউশন খন্দকার মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করেন।

খন্দকার মাহবুব হোসেনে বলেছিলেন, ‘এই বিচারটি একটি প্রহসনের বিচার, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিচার। ইনশাল্লাহ জাতীয়তাবাদী শক্তি যদি ক্ষমতায় আসে, সত্যিকার অর্থে যারা যুদ্ধাপরাধী, তাদের বিচার হবে এবং নির্দোষ ব্যক্তিরা প্রতিহিংসার জন্য যাদের বিচার করা হয়েছে, কাল্পনিক গল্প দিয়ে যে মামলা তৈরি করা হয়েছে, অবশ্যই সেটা চলে যাবে। যারা এই প্রহসনের বিচারে সম্পৃক্ত, ইনশাল্লাহ বাংলার মাটিতে তাদেরও বিচার হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ