একটি বিষধর সাপের দাম ২০ লাখ টাকা !
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ একটি বিষাক্ত কেউটে (স্থানীয় ভাষায় হানাই সাপ)৩ লাখ টাকায় কিনে ২০ লাখ টাকায় বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু মূল্য পরিশোধ নিয়ে দেনদরবার হওয়ায় প্রকাশ পায় এ ঘটনা।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব কাটগড় বিওসি এলাকার ৬ যুবকের সঙ্গে এ নিয়ে দেনদরবার চলছে ক্রেতার।
স্থানীয়রা জানায়, চন্দনাইশ উপজেলার বাদামতলী এলাকার নুরুল আলম সওদাগর নামে এক ব্যক্তি সম্প্রতি বিওসির মোড়ে এসে কয়েকজনকে জানায় হানাই সাফ পেলে সে প্রতিটি সাপ ২০ লাখ টাকায় কিনে নেবে। এতে সাড়া দেয় এলাকার মো. হানিফ, পারভেজ, সোহেল, আবছার, শফিক ও বেদার নামের ৬ জন যুবক।
যুবকরা জানায়, রাতারাতি লাখপতি হবার আশায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সাপের খবর পেতে লোক লাগায়। এক পর্যায়ে তারা খবর পায় বান্দরবানের বাকীঝিরি নামক স্থানে উপজাতিদের হাতে একটি হানাই সাপ ধরা পড়েলে। সেটি ২ লাখ টাকায় কিনে এবং সেটি বিওসির মোড়ে পৌছানো বাবদ আরো ১ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রদান করে সেটি নিয়ে আসা হয়।
৩ লাখ ১০ হাজার টাকায় কেনা সাপটির খবর মূল ক্রেতা নুরুল আলম সওদাগরকে জানালে তিনি সাপটির নিয়ে তার প্রতিশ্রুতি মত টাকা প্রদানে গড়িমসি শুরু করে।
মো. হানিফ বলেন, সাপটি কেনার সময় আমরা প্রত্যেকে ৫১ হাজার ৬০০ টাকা করে মোট ৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। ২০ লাখ টাকায় সাপটি বিক্রী করলেও ক্রেতা টাকা পরিশোধে গড়িমসি করায় বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখীন হই। টাকা আদায়ে এখন স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের কাছে দেনদরবার করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সাতকানিয়া ইউপি মেম্বার আবদুল গফুর মুক্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ক্রেতা সাপটি ২০ লাখ টাকায় কিনলেও লোভে পড়ে টাকা পরিশোধ করছে না। তবে টাকা আদায়ে সর্বোচ্চ চেস্টা চলছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী মোহাম্মদ আসমত বিশ্বের কোথাও এরকম দামে সাপ বিক্রির নজির নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সাপ নিয়ে ব্যবসাটি পাগলামী ছাড়া আর কিছু নয়। তবে ধরা পড়া সাপটিকে দুর্লভ বিষধর কেউটে প্রজাতির। এ প্রজাতির সাপ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে বলে জানান তিনি।